,

মাধবপুরে প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনায় আটক ৬ :: আহত ৭ :: ঘটনাস্থল পরিদর্শনে ডিসি ও এসপি

পিন্টু অধিকারী, মাধবপুর : মাধবপুর উপজেলার রামেশ্বর গ্রামে বিশ্বকর্মা পুজায় নাচ-গান করতে না দেওয়ায় প্রতিমা ভাংচুরসহ সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন ৭ জন। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) মাধবপুর উপজেলার রামেশ্বর গ্রামে রাত ১০টায় এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, রামেশ্বর যুব তরঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে ১৮-১৯ শে সেপ্টেম্বর রামেশ্বর গ্রামে শ্রী শ্রী বিশ্বকর্মা পুজার আয়োজন করে। মঙ্গলবার রাত ১০টায় একই গ্রামের খাইরুল (২১) সহ স্থানীয় কিছু উশৃঙ্খল যুবক অনুষ্টানে নাচ-গান করার জন্য যায়। এতে পুজা কমিটি বাঁধা দিলে সংঘর্ষ বাদে। পরে অনুষ্টানের চেয়ারসহ প্রতিমা ভাংচুর করে। এ ঘটনায় অন্তত ৭ জন আহত হয়। আহত সিদ্দিক (৫০), হাফিজ (৫০), মস্তুর মিয়া (২০), খায়রুল (২০), মাম্মদ আলী (৪২), সায়েদ মিয় (৩০) কে মাধবপুর হাসপাতালে ভর্তি করা ভর্তি করা হয়েছে।
মাধবপুর থানা ভারপাপ্ত কমকর্তা মো. রকিবুল ইসলাম খান জানান, রাতেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রতিমা ভাংচুরকারীদের মধ্যে ৬ জনকে আটক করেন। বতর্মানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে গতকাল বুধবার দুপুরে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক দেবী চন্দ, পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয় লোকজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন।
জেলা প্রশাসক দেবী চন্দ বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে যাদের ইন্দন রয়েছে সে যত বড় শক্তিশালী হউক তাকে ছাড় দেওয়া হবেনা। পুলিশ সুপার বলেন, যারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি নষ্ট করতে এধরনের কাজ করেছেন তাদের আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুর আহসান, অফিসার ইনচার্জ রকিবুল ইসলাম খান, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ ও পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রকিবুল ইসলাম খান জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকী জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া রামেশ্বর গ্রামে আইনশৃংখলা স্বাভাবিক রাখতে সার্বক্ষনিক পুলিশ প্রহরা নিয়োজিত করা হয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর